বেশি দূর নয় স্যারের বাড়ি থেকে দুটো বাড়ি পরেই পর পর দুটো বাড়ি দু ভাইয়ের দুইছেলেকে পড়াতে হবে. বড় ভাইয়ের ছেলে পরে ক্লাস সেভেন আর ছোট ভাইয়ের ছেলে ক্লাস ফাইবে। হাজার টাকাকরে দেবে দু ভাই ঠিক হলো। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর স্যার বললেন – সুমন তোর তো জলখাবার খাওয়া হয়নি তা আমার বাড়িতেই তো জলখাবার খেয়ে বৌমাকে একটু দেখিয়ে দিস।
আমি – না না স্যার আমাকে একবার বাজারে যেতে হবে আর কয়েকটা জিনিস কিনে বাড়িতে দিতে যেতে হবে, তাইআমি বাড়িতেই টিফিন করে নেব আর স্নান সেরে যাবো যদি দেরি হয় ওকে পড়া দেখাতে।
স্যার – তা ঠিক জানিস মেয়েটা খুব ভালো কিন্তু ও ভীষণ একা কেননা সুনীল সকাল ৬ টা সময় বের হয় সেইকাশিপুর গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরিতে যেতে হয় আর ফিরতে ফিরতে সে রাট ৮/৮:৩০ টা. আর তোর কাকিমা তোএকেবারেই নড়তে চড়তে পারেনা। একা হাতেই মেয়েটা সব দিক সামলাতে হয়। তুই মাঝে সময় পেলে দুপুরেরদিকে ওর কাছে যাস একটু ওকে যদি সময় দিস তোরাতো একই বয়েসী তাই বলছিলাম।
আমি – আম্পনি কিছু চিন্তা করবেন না আমি সময় পেলে নিশ্চয় যাবো।
স্যার ওনার বাড়িতে ঢুকে গেলেন আমিও আমার বাড়ির দিকে চলতে শুরু করলাম। মা আমাকে জিরে , হলুদ আরকয়েকটা ডিম্ কিনে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। আমরা সুধু ডিমটাই খেতে পারি মাছ কেনার পয়সা আমাদের নেই।জিনিস গুলো কিনে তাড়াতড়ি বাড়ি ফিরলাম।
আমি তাড়াতাড়ি স্নানে ঢুকে যাচ্ছি দেখে মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন – কিরে খোকা সবে তো ১১ টা বাজে এরইমধ্যে তুই স্নান করতে যাচ্ছিস আমারতো এখনো রান্নাই হলোনা , তুই কি কোথাও যাবি ?
আমি – হা মা আমাকে ১২ টার মধ্যে পৌঁছতে হবে স্যারের বাড়ি ওনার ছেলের বৌকে একটু ইংরেজি পড়াতে হবেআর তুমিতো যেন মা আমি স্যারের কথা ফেলতে পারিনা, তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা তুমি যা টিফিন খাওয়ালেতাতে আমি বেলা ২ টো অব্দি চালিয়ে দেব আর বাড়ি এসে তুমি আমি এক সাথে খাবার খাবো।
মা – ঠিক আছে বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি যা আর তাড়াতাড়ি চলে আয়।
বাথরুমে ঢুকে জাঙ্গিয়া খুলে দেখি রসে একদম চ্যাট চ্যাট করছে এখন এটাকে কেচে না দিলে চলবে না তাই সাবানবুলিয়ে কেচে দিলাম জাঙ্গিয়া। এবার আমার বাড়ার চামড়াটা খুলে দেখি ওখানেও ল্যাদলেদে রসে ভর্তি ভালো করেজল দিয়ে ধুয়ে সাবান দিলাম তারপর স্নান সেরে বেরিয়ে এলাম। কিন্তু প্যান্ট পড়তে গিয়ে সমস্যা আমার একটাইজাঙ্গিয়া সেটা কেচে দিয়েছি।
ঠিক করলাম জাঙ্গিয়া ছাড়াই প্যান্ট পরব শুধু খেয়াল রাখতে হবে জীপারটা না বাড়ার চামড়া কামড়ে ধরে। সেইমতজামা–প্যান্ট পরে নিলাম মা এক চামচ চিনি মুখে দিয়ে এক গ্লাস জল দিলেন, কেননা মেয়েরা সবাই বলেন স্নান করেমুখে কিছু না দিয়ে বেরোতে নেই…..
স্যারের বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়াতেই দরজা খুলে গেল, বুলা দাঁড়িয়ে আছে তাই দেখে আমি বললাম তুমি কিকরে বুঝলে যে আমি এসেছি অন্য কেউতো হতে পারতো ?
বুলা – আমি তোমাকে আস্তে দেখেই দরজা খুললাম। আমি আর কথা না বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকলাম, বুলা আমারপাশেই ছিল হাত বাড়িয়ে হঠাৎ আমার বাড়াটা প্যান্টের উপর দিয়ে চেপে ধরে আমার কানে কানে বলল দূর থেকেইবুঝতে পড়েছিলাম তোমার প্যান্টের ভেতরে জাঙ্গিয়া নেই আর তাই তুমি যখন হাট ছিলে তখন তোমার এটা বেশজোরে জোরে নড়ছিলো। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল বেশ সুন্দর জিনিস বানিয়েছো তো। তা কটা মেয়েরভিতরে এটা ঢুকিয়েছো ?
আমি – কপট দুঃখের ভাব এনে বললাম এ অভাগাকে কে আর সে সুখ দেবে বল। মেয়ে বন্ধু করতে হলে পকেটেরজোর চাই আর ফাঁকা পকেট নিয়ে প্রেম করা চলেনা।
বুলা আমার থুতনী ধরে নাড়িয়ে দিয়ে বলল বাবুর কি দুঃখ দেখো বলে হেসে এগিয়ে গেলো ওর শাশুড়ির ঘরের কাছে ; পায়ে পায়ে আমিও ঘরের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম দেখলাম কাকিমা একটা নাইটি পরে বালিশে হেলান দিয়ে আধ শোয়াঅবস্থায় রয়েছেন।
আমাকে দেখিয়ে বলল – মা দেখুন তো একে চিনতে পারেন কিনা। কাকিমা আমার দিকে তাকিয়ে বুলার কথার উত্তরনা দিয়ে আমাকে বললেন – অরে সুমন তোকে কত দিন বাদে দেখলাম আয় আমার কাছে আয়।
আমি কাছে গিয়ে ওনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে জিজ্ঞেস করলাম – কেমন আছেন কাকিমা ?
কাকিমা একটু শুকনো হাসি হেসে বললেন – আর কেমন থাকবো বল আমার কোমরের নিচে থেকে দিন দিন অসাড়হয়ে আসছে এইতো নীলের (সুনীল দা ) বিয়ের সময়ও কত খাটা খাটনি করলাম তারপর হঠাৎ কি যে হলো ধীরে ধীরেপায়ের জোর চলে যেতে লাগল। ভাগ্গিস নীলের বিয়েটা ভালোমতো হয়ে গেছিলো আর বুলা বেচারি এই কম বয়েসেওকে আমার খিদমত করতে হচ্ছে। কিযে পড়া কপাল আমার।
বুলা – একটু রাগ দেখিয়ে তুমি যদি এসব কথা বল তবে আমি আর তোমার সাথে কথাই বলব না.
কাকিমা – এই দেখো মেয়ে আবার রাগ করে, নারে বুলা রাগ করিস না আমি আর বলব না কোনোদিন।
বুলা – মনে থাকে যেন মেয়ে মেক সেবা করবে ইটা এমন কি বড় কথা বল সুমন। আমিও ওর কথায় সে দিলাম।
কাকিমার খাবার সময় হয়ে গেছে তাই আমাকে কাকিমার কাছে বসিয়ে রেখে কাকিমার খাবার নিয়ে আস্তে গেলএকটা থালায় করে একটু ঝোল ভাত মাখিয়ে কাকিমাকে বেশ যত্ন করে খাইয়ে দিতে লাগল; খাবার শেষে মগে করেজল এনে মুখ ধুইয়ে মুছিয়ে দিলো ছোট একটা টাওয়েল দিয়ে। কাকিমা– সুমন বাবা আজ আমাদের এখানে খেয়ে যেও বুলা খুব ভালো রান্না করে।
আমি – না কাকিমা আজ নয়, আজ মাকে কথা দিয়ে এসেছি বাড়ি ফিরে এক সাথে ভ্যাট খাবো। এ কথা সোনার পরশুধু একটু হাসলেন কিছুই আর বললেন না।
বুলা এবার আমাকে নিয়ে পড়ল বলল –এই যে মাস্টার মশাই চলুন আমাকে একটু ইংরেজি বুঝিয়ে দেবেন।
আমি – কপট রাগ দেখিয়ে বললাম মাস্টার আর আপনি এ দুটো যদি বলো তো আমি এখুনি বাড়ি চলে যাবো।
কাকিমা সব দেখে শুনে বললেন – একই কথা বুলা তুই ওকে মাস্টার আপনি এসব কেন বলছিস আর তোরা তোএকই বয়েসী, বন্ধুর মত আর আমাদের সুমন খুব ভালো ছেলে যেমন পড়াশোনায় তেমনি স্বভাব চরিত্রে। একদমখাঁটি সোনা। যাও বাবা ওকে একটু দেখিয়ে দাও আর সময় সুযোগ করে মাঝে মাঝ এস তাহলে ওরও ভালো লাগবে।